সরকারের কাছে আত্মসমর্পণের জন্যে প্রভাকরন এবং তামিল বিদ্রোহীদের ২৪ ঘন্টা সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছিলো ৷ সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে এই সময়ের হিসেব শুরু হয়েছে৷ এখন তা শেষ । এবার শ্রিলঙ্কা প্রশাসন চালাবে চিরুনি তল্যাসি। তবে তার আগে রন কৌশ্ল নির্নয়ের জন্য বৈ থকে বসেছে সরকার।
শ্রীলংকা সরকার তামিল টাইগার যোদ্ধাদের এবং তাদের প্রধানকে আত্মসমর্পণের জন্যে ২৪ ঘন্টা সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়৷ সৈন্যরা বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ অঞ্চলটিতে ঢুকে পড়ার পর এই সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয় ৷ এদিকে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল থেকে সোমবার ২৫ থেকে ৩৫ হাজার বেসামরিক নাগরিক পালিয়ে গেছে বা তাদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে৷
শ্রীলংকার উত্তরে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ অঞ্চলটিতে সেনাবাহিনী ঢুকে পড়ার পর অবশেষে তামিল টাইগার বিদ্রোহী বা এলটিটিই-র প্রতিষ্ঠাতা ভেলুপিল্লাই প্রভাকরন এবং তার যোদ্ধাদের প্রতি আত্মসমর্পণের সময়সীমা বেঁধে দেয় শ্রীলংকা সরকার৷ বিদ্রোহীদেরকে বলা হয়েছিল, হয় তাদেরকে আত্মসমর্পণ করতে হবে, নতুবা মরতে হবে৷ বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল থেকে হাজার হাজার সাধারণ নাগরিক পালিয়ে গেছে বা তাদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে৷
শ্রীলংকা সরকার তামিল টাইগার যোদ্ধাদের এবং তাদের প্রধানকে আত্মসমর্পণের জন্যে ২৪ ঘন্টা সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়৷ সৈন্যরা বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ অঞ্চলটিতে ঢুকে পড়ার পর এই সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয় ৷ এদিকে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল থেকে সোমবার ২৫ থেকে ৩৫ হাজার বেসামরিক নাগরিক পালিয়ে গেছে বা তাদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে৷
শ্রীলংকার উত্তরে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ অঞ্চলটিতে সেনাবাহিনী ঢুকে পড়ার পর অবশেষে তামিল টাইগার বিদ্রোহী বা এলটিটিই-র প্রতিষ্ঠাতা ভেলুপিল্লাই প্রভাকরন এবং তার যোদ্ধাদের প্রতি আত্মসমর্পণের সময়সীমা বেঁধে দেয় শ্রীলংকা সরকার৷ বিদ্রোহীদেরকে বলা হয়েছিল, হয় তাদেরকে আত্মসমর্পণ করতে হবে, নতুবা মরতে হবে৷ বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল থেকে হাজার হাজার সাধারণ নাগরিক পালিয়ে গেছে বা তাদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে৷
সাম্প্রতিক সময়ে তামিল বিদ্রোহীদের ঘাঁটিগুলো সরকারী বাহিনী দখল করে নেয়ার পর, বিদ্রোহীরা এখন কেবল উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলের প্রায় ২০ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চলে আবদ্ধ রয়েছে৷ জাতিয়সংঘের হিসেব অনুযায়ী তামিল বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে প্রায় ১লাখ বেসামরিক নাগরিক আটকা পড়ে আছে৷
শ্রীলংকার প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র কেহেলিয়া রামবুকভেল্লা কলোম্বোতে সাংবাদিকদের বলেন, সরকারের কাছে আত্মসমর্পনের জন্যে প্রভাকরন এবং তামিল বিদ্রোহীদের ২৪ ঘন্টা সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে৷ সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে এই সময়ের হিসেব শুরু হবে৷ তিনি বলেন, এই সময় পার হয়ে গেলে, সামরিক অভিযান শুরু করা হবে৷ এবং সেটাই হবে সঠিক উপায়৷
এদিকে তামিল টাইগার বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কোন মন্তব্য করা হয়নি৷ প্রভাকরন এবং তার যোদ্ধারা সবসময়ই তাদের গলায় একটি বিষের শিশি ঝুলিয়ে রাখেন, যাতে ধরা পড়া মাত্রই সেটি তারা সেবন করতে পারে৷ শ্রীলংকায় তামিলদের একটি পৃথক আবাসভূমির জন্যে ৩৭ বছর ধরে লড়াই করে আসছে তামিল টাইগার বিদ্রোহীরা৷ দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রভাকরন প্রথম থেকেই আত্মসমর্পন না করার অঙ্গীকার করে আসছেন৷
এশিয়ায় সবচেয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলমান গৃহযুদ্ধ এখন শেষ হবার পথে বলে মনে করা হচ্ছে৷৷ শ্রীলংকাকে এখন সংখ্যালঘু তামিল ও সংখ্যাগরিষ্ঠ সিংহলীদের মধ্যে শান্তি বজায় রাখার চ্যালেঞ্জটির মোকাবেলা করতে হবে৷ অন্যদিকে শ্রীলংকায় মানবাধিকার লংঘনের জন্যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো শ্রীলংকার সরকার এবং তামিল টাইগার বিদ্রোহীদের দায়ী করে আসছে৷শ্রীলংকার সরকার ও তামিল টাইগার বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধবিরতির দাবিতে সোমবার লন্ডনে হাজার হাজার প্রবাসী তামিল ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে কয়েকটি রাস্তা আটকে বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে দ্রুত বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নতুন অধিবেশনের শুরুর দিনে বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্টের সামনের স্কোয়ার থেকে ছড়িয়ে পড়ে বেশ কয়েকটি প্রধান সড়ক বন্ধ করে দেয়। তীব্র উত্তেজনা থাকলেও বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণভাবেই তাদের ক্ষোভ ব্যক্ত করে। বিক্ষোভকারীদের হাতে হাতে থাকা ব্যানারে দেশের সংঘাত ও যুদ্ধকে সরকারের নেতৃত্বে গণহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। শ্রীলংকায় এদিন সেনাবাহিনী তামিল টাইগারদেরকে আত্মসমর্পণের জন্য ২৪ ঘন্টার সময় বেধে দিয়েছে । যুদ্ধাঞ্চল থেকে প্রায় ৫,০০০ বেসামরিক তামিল পালিয়ে আসার পরপরই এ আলটিমেটাম দেওয়া হয়। পালাতে থাকা এসব লোকদের ভিড়ে চালানো আত্মঘাতী বোমা হামলায় নারী ও শিশু মিলিয়ে কমপক্ষে ১৭জন নিহত হয়। আহত হয়েছে অন্তত ২০০ জন। প্রবাসী তামিলরা দেশের সংঘাতের প্রতি বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বিশ্বের বড় বড় শহরে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করে আসছে। তবে লন্ডনেই তারা সোচ্চার বেশি কারণ নিজস্ব একটি ভূখণ্ড না পাওয়ার জন্য তারা শ্রীলংকার সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি ব্রিটেনকে দায়ী করে থাকে। ব্রিটেনে তামিলদের সংখ্যা প্রায় দুই লাখ। দেশে সরকারি সেনারা তামিল যোদ্ধাদের উত্তর-পূর্বের একটি সংকীর্ণ এলাকায় ঘেরাও করে ফেলার পর দু'সপ্তাহ ধরে প্রবাসী তামিলারা লন্ডনে বিক্ষোভ করে যাচ্ছে। ঘেরাও হয়ে থাকা তামিল যোদ্ধাদের সঙ্গে আটকা পড়েছে এক লাখের বেশি বেসামরিক তামিল। সরকারের অভিযোগ, মানবঢাল হিসেবে ব্যবহারের জন্য বেসামরিক লোকদের সরে যেতে দিচ্ছে না টাইগাররা। এরই মধ্যে সেখানে সরকারি সেনাদের বোমাবর্ষণও চলছে। এতে নিরীহ মানুষের হতাহত হওয়া ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্র"প শ্রীলংকায় এক মানবিক ট্রাজেডি শুরু হচ্ছে বলে বিশ্বকে সোমবার সতর্কবাণী শুনিয়েছে। লন্ডনে বিক্ষোভকালে ২৯ বছর বয়সী সায়ান সেলভারাতনান বলেন, "প্রতিদিন শত শত তামিল মারা যাচ্ছে। আমরা এটা চলতে দিতে পারি না।" সেলভারাতনান আট বছর আগে ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছেন। তার বাবা-মা শ্রীলংকার উত্তরে নিজ বাড়িতে রয়ে গেছেন যে অঞ্চলটিকে নিজস্ব স্বাধীন আবাসভূমি করার জন্য কয়েক দশক ধরে সরকারের বিরুদ্ধে লড়ে গেছে তামিল টাইগাররা। সেলভারাতনান বলেন, "হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে আমরা যুদ্ধবিরতির দাবি জানাচ্ছি। হত্যা বন্ধে আমাদের কিছু একটা করতেই হবে।" ব্রিটিশ পুলিশ দূরত্ব বজায় রেখে বিক্ষোভকারীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেছে এবং নিজে থেকেই বিক্ষোভ থেমে যাওয়ার অপেক্ষায় থেকেছে।
শ্রীলংকার প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র কেহেলিয়া রামবুকভেল্লা কলোম্বোতে সাংবাদিকদের বলেন, সরকারের কাছে আত্মসমর্পনের জন্যে প্রভাকরন এবং তামিল বিদ্রোহীদের ২৪ ঘন্টা সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে৷ সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে এই সময়ের হিসেব শুরু হবে৷ তিনি বলেন, এই সময় পার হয়ে গেলে, সামরিক অভিযান শুরু করা হবে৷ এবং সেটাই হবে সঠিক উপায়৷
এদিকে তামিল টাইগার বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কোন মন্তব্য করা হয়নি৷ প্রভাকরন এবং তার যোদ্ধারা সবসময়ই তাদের গলায় একটি বিষের শিশি ঝুলিয়ে রাখেন, যাতে ধরা পড়া মাত্রই সেটি তারা সেবন করতে পারে৷ শ্রীলংকায় তামিলদের একটি পৃথক আবাসভূমির জন্যে ৩৭ বছর ধরে লড়াই করে আসছে তামিল টাইগার বিদ্রোহীরা৷ দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রভাকরন প্রথম থেকেই আত্মসমর্পন না করার অঙ্গীকার করে আসছেন৷
এশিয়ায় সবচেয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলমান গৃহযুদ্ধ এখন শেষ হবার পথে বলে মনে করা হচ্ছে৷৷ শ্রীলংকাকে এখন সংখ্যালঘু তামিল ও সংখ্যাগরিষ্ঠ সিংহলীদের মধ্যে শান্তি বজায় রাখার চ্যালেঞ্জটির মোকাবেলা করতে হবে৷ অন্যদিকে শ্রীলংকায় মানবাধিকার লংঘনের জন্যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো শ্রীলংকার সরকার এবং তামিল টাইগার বিদ্রোহীদের দায়ী করে আসছে৷শ্রীলংকার সরকার ও তামিল টাইগার বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধবিরতির দাবিতে সোমবার লন্ডনে হাজার হাজার প্রবাসী তামিল ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে কয়েকটি রাস্তা আটকে বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে দ্রুত বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নতুন অধিবেশনের শুরুর দিনে বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্টের সামনের স্কোয়ার থেকে ছড়িয়ে পড়ে বেশ কয়েকটি প্রধান সড়ক বন্ধ করে দেয়। তীব্র উত্তেজনা থাকলেও বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণভাবেই তাদের ক্ষোভ ব্যক্ত করে। বিক্ষোভকারীদের হাতে হাতে থাকা ব্যানারে দেশের সংঘাত ও যুদ্ধকে সরকারের নেতৃত্বে গণহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। শ্রীলংকায় এদিন সেনাবাহিনী তামিল টাইগারদেরকে আত্মসমর্পণের জন্য ২৪ ঘন্টার সময় বেধে দিয়েছে । যুদ্ধাঞ্চল থেকে প্রায় ৫,০০০ বেসামরিক তামিল পালিয়ে আসার পরপরই এ আলটিমেটাম দেওয়া হয়। পালাতে থাকা এসব লোকদের ভিড়ে চালানো আত্মঘাতী বোমা হামলায় নারী ও শিশু মিলিয়ে কমপক্ষে ১৭জন নিহত হয়। আহত হয়েছে অন্তত ২০০ জন। প্রবাসী তামিলরা দেশের সংঘাতের প্রতি বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বিশ্বের বড় বড় শহরে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করে আসছে। তবে লন্ডনেই তারা সোচ্চার বেশি কারণ নিজস্ব একটি ভূখণ্ড না পাওয়ার জন্য তারা শ্রীলংকার সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি ব্রিটেনকে দায়ী করে থাকে। ব্রিটেনে তামিলদের সংখ্যা প্রায় দুই লাখ। দেশে সরকারি সেনারা তামিল যোদ্ধাদের উত্তর-পূর্বের একটি সংকীর্ণ এলাকায় ঘেরাও করে ফেলার পর দু'সপ্তাহ ধরে প্রবাসী তামিলারা লন্ডনে বিক্ষোভ করে যাচ্ছে। ঘেরাও হয়ে থাকা তামিল যোদ্ধাদের সঙ্গে আটকা পড়েছে এক লাখের বেশি বেসামরিক তামিল। সরকারের অভিযোগ, মানবঢাল হিসেবে ব্যবহারের জন্য বেসামরিক লোকদের সরে যেতে দিচ্ছে না টাইগাররা। এরই মধ্যে সেখানে সরকারি সেনাদের বোমাবর্ষণও চলছে। এতে নিরীহ মানুষের হতাহত হওয়া ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্র"প শ্রীলংকায় এক মানবিক ট্রাজেডি শুরু হচ্ছে বলে বিশ্বকে সোমবার সতর্কবাণী শুনিয়েছে। লন্ডনে বিক্ষোভকালে ২৯ বছর বয়সী সায়ান সেলভারাতনান বলেন, "প্রতিদিন শত শত তামিল মারা যাচ্ছে। আমরা এটা চলতে দিতে পারি না।" সেলভারাতনান আট বছর আগে ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছেন। তার বাবা-মা শ্রীলংকার উত্তরে নিজ বাড়িতে রয়ে গেছেন যে অঞ্চলটিকে নিজস্ব স্বাধীন আবাসভূমি করার জন্য কয়েক দশক ধরে সরকারের বিরুদ্ধে লড়ে গেছে তামিল টাইগাররা। সেলভারাতনান বলেন, "হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে আমরা যুদ্ধবিরতির দাবি জানাচ্ছি। হত্যা বন্ধে আমাদের কিছু একটা করতেই হবে।" ব্রিটিশ পুলিশ দূরত্ব বজায় রেখে বিক্ষোভকারীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেছে এবং নিজে থেকেই বিক্ষোভ থেমে যাওয়ার অপেক্ষায় থেকেছে।
0 comments:
Post a Comment