ওয়াই এস আর এর পর কে? অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে সবার আগে ওয়াই এস আর পুত্র জগন্মোহন.........।
নিন্দুকেরা বলবে পরিবারতন্ত্র।
হ্যাঁ পরিবারতন্ত্রই বটে।
এ দেশের গণতন্ত্রের সাথে পরিবারতন্ত্রের ভালোবাসা বহুদিনের। আবার হয়তো একটা গণতন্ত্র-পরিবারতন্ত্রের হানিমুনের স্বাখ্যি হয়ে রইলো ভারতবর্ষ। আবার এক বাবার পর, ভারতের ভাগ্যবিধাতার আসনে প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে ছেলে। কারণ হিসেবে আবার বলা হচ্ছে “ ওনার মতন যোগ্যতা ওনার ছেলে ছাড়া ভু-ভারতে দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তির নেই”।
সত্যিই সেলুকাস, কি বিচিত্র এই দেশ............।
প্রবল দাবি উঠেছে রাজশেখরের ছেলে জগন্মোহনকে মুখ্যমন্ত্রী করার জন্যে। সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে এই দাবিতে দিস্তা দিস্তা চিঠি জমা পড়েছে। ক্রমাগত চিঠি পাঠিয়ে চলেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মন্ত্রী ও বিধায়করা। চিঠি পাঠাচ্ছেন রাজ্য কংগ্রেসের বহু বড় মাপের নেতা-নেত্রী।
রাজশেখরের মৃত্যু সংবাদ আসার পরই দাবি ওঠে ভবিষ্যত মুখ্য মন্ত্রী করতে হবে জগন্মোহনকে। চোখে জল নিয়ে মন্ত্রী-বিধায়ক-নেতা-কর্মীরা দাবিতোলেন, ভবিষ্যতে তারা অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে দেখতে চান জগন্মোহন বাবুকে। মত্রী সভার সব মন্ত্রী জগনের জন্যে চিঠি পাঠিয়েছেন। রাজ্যের ২২ জন সাংসদ সওয়াল করছেন জগন্মোহনকে মুখ্যমন্ত্রী করারা জন্যে। ১৫৪ জন বিধায়কের মধ্যে ১৪৮ জন জগন পন্থী।
হায়দ্রাবাদের রাস্তায় পষ্টার পড়েছে। তাতে লেখা “জগন-অ্যাস-সিএম”। মোবাইলে ম্যাসেজের মাধ্যমে প্রচার হচ্ছে- “হয়েন ইন্দিরা গান্ধী এক্সপায়ার্ড রাজীব গান্ধী ওয়াস মেড প্রাইম মিনিস্টার, হোয়াই জগন বি মেড সিএম নাউ”।
কংগ্রেস হাইকমান্ডের এখনো অবশ্য কোনো সিদ্ধান্তের কথা ঘোষনা করেননি। ওয়াই এস আর বিরধী কেশব রায়ের মতামতের কথাও মাথায় রাখতে হচ্ছে কংগ্রেস হাইকমান্ডকে। ফলে ১০ দিনর সময় চেয়েছেন গোটা বিষয়টা পর্যালচনার জন্যে।
রাজনীতিতে ১ বছরের অভিঙ্গতাও এখনো লাভ করতে পারেননি জগন্মোহন। গত লোকসভা নির্বাচনে প্রথমবার ভোটে দাড়িয়ে জিতেছেন কাড়াপ্পা লোকসভা কেন্দ্র থেকে। পেশায় সংবাদ ব্যবসাই। তেলেগু সংবাদ পত্র স্বাক্ষির মালিক। ওই একই নামে একটি ওয়েব সাইট ও টেলিভিশান চ্যানেলও চালান।
বেশ কিছু বিতর্কেরও মালিক জগন। সত্যাম কেলেঙ্কারিতেও উঠে এসে ছিল জগমহনের নাম। বিরধীরা এক সময় অভিযোগ তুলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে ওয়াই এস আর পরিবারের বার্ষিক আয় ছিল ৪১ লাক টাকা। আর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ওয়াই এস আর পরিবারের বার্ষিক আয় হয় ১০০০০০ কোটি টাকা।
এই লক্ষীলাভের জন্যে নাকি জগন্মোহনের সুচতুর বৈশয়িক বুদ্ধি আনেকটাই দাবিদার।
তাহলে এই কারণে কি পরিবার তন্ত্রের ধ্বজা থমকে যাবে?
মনে হয় না।
তবুও হেড না টেল দেখার জন্যে অপেক্ষা করতে হবে কংগ্রেস হাই কমান্ডের পর্যালচনার জন্যে চাওয়া দশ দশটা দিন পর্যন্ত।
0 comments:
Post a Comment