আসামে তিনটি বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে সাতজন নিহত ও ৫৪ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৩৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিষিদ্ধ ঘোষিত ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) সন্ত্রাসবাদীরা এ হত্যা কান্ড চালিয়েছে বলে সন্দেহ করছেন প্রশাসন। যদিয় উলফা তরফ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থা দ্য ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এনআইএ) প্রকাশিত একটি চূড়ান্ত চার্জশিটে বলা হয়েছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আসাম রাজ্যে নকশালপন্থী জঙ্গিরা রাজনীতিবিদ, আমলা ও কন্ট্রাক্টরদের কাছ থেকে নিয়মিত অর্থ সহায়তা পাচ্ছে।
স্থানীয় এক পুলিশ অফিসার আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, রাজ্যের রাজধানী গৌহাটি থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে নালবারি শহরে একটি পুলিশ স্টেশনের বাইরে রবিবার কয়েক মিনিটের মধ্যে দুটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। এতে ছয়জন নিহত হন। তাদের মধ্যে চারজন ঘটনাস্থলে এবং দু'জন হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই পুলিশ অফিসার আরো জানান, প্রথম দুটির বিস্ফোরণ স্থল থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে পাঁচ মিনিট পর তৃতীয় বোমাটির বিস্ফোরণ হয়। তিনটি বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৫৪ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ৩৪ জনকে দ্রুত গৌহাটি মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকিদের নালবারি সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আসামের মুখমন্ত্রী তরুণ গোগোই এই সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের নিন্দা প্রকাশ করেছেন। তিনি নিরীহ হতাহতে মানুষদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। বিস্ফোরণের পরই আসামজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা রেড অ্যালার্ড জারি করা হয়েছে। পুলিশের তরফ থেকে আক্রমণস্থল ঘিরে রাখা হয়েছে। গৌহাটি ও নলবারি শহরে ব্যাপক তল্লাশি চালানো হচ্ছে। নালবারি পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট জিটমল দুলে জানান, বোমা দুটি ৫০ মিটার ব্যবধানে বাইসাইকেলে পেতে রাখা ছিল। আসাম পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল বাস্কার মাহান্তা জানান, এ আক্রমণের পেছনে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী উলফার হাত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি জানান, পুলিশ গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছে, গত সপ্তাহে উলফার দুই নেতাকে গ্রেফতার করার পরই তারা প্রতিশোধের পরিকল্পনা করছেন। তবে কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করছে না। উলফার প্রথম সারির এক নেতা এ হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। এদিকে , ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা দ্য ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এনআইএ) প্রকাশিত একটি চূড়ান্ত চার্জশিটে বলা হয়েছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আসাম রাজ্যে নকশালপন্থি জঙ্গিরা রাজনীতিবিদ, আমলা ও কন্ট্রাক্টরদের কাছ থেকে নিয়মিত অর্থ সহায়তা পাচ্ছে। গত ১৭ নভেম্বর ১৪ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৩৪ পৃষ্ঠার ওই চার্জশিট আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এতে দেখা যাচ্ছে, আসামের নর্থ কাচার হিলস জেলার সরকারি স্বাস্থ্য দপ্তর এবং সমাজকল্যাণ বিভাগের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে ২০ কোটি টাকা জঙ্গিদের সরঞ্জাম কেনার জন্য দেওয়া হয়েছে। চার্জশিটে আরও বলা হয়েছে, কলকাতায় অবস্থিত এক অবৈধ অর্থ পাচার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বেশিরভাগ লেনদেন হয়েছিল।
গোয়েন্দা সংস্থা দ্য ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এনআইএ) প্রকাশিত একটি চূড়ান্ত চার্জশিটে বলা হয়েছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আসাম রাজ্যে নকশালপন্থী জঙ্গিরা রাজনীতিবিদ, আমলা ও কন্ট্রাক্টরদের কাছ থেকে নিয়মিত অর্থ সহায়তা পাচ্ছে।
স্থানীয় এক পুলিশ অফিসার আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, রাজ্যের রাজধানী গৌহাটি থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে নালবারি শহরে একটি পুলিশ স্টেশনের বাইরে রবিবার কয়েক মিনিটের মধ্যে দুটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। এতে ছয়জন নিহত হন। তাদের মধ্যে চারজন ঘটনাস্থলে এবং দু'জন হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই পুলিশ অফিসার আরো জানান, প্রথম দুটির বিস্ফোরণ স্থল থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে পাঁচ মিনিট পর তৃতীয় বোমাটির বিস্ফোরণ হয়। তিনটি বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৫৪ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ৩৪ জনকে দ্রুত গৌহাটি মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকিদের নালবারি সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আসামের মুখমন্ত্রী তরুণ গোগোই এই সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের নিন্দা প্রকাশ করেছেন। তিনি নিরীহ হতাহতে মানুষদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। বিস্ফোরণের পরই আসামজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা রেড অ্যালার্ড জারি করা হয়েছে। পুলিশের তরফ থেকে আক্রমণস্থল ঘিরে রাখা হয়েছে। গৌহাটি ও নলবারি শহরে ব্যাপক তল্লাশি চালানো হচ্ছে। নালবারি পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট জিটমল দুলে জানান, বোমা দুটি ৫০ মিটার ব্যবধানে বাইসাইকেলে পেতে রাখা ছিল। আসাম পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল বাস্কার মাহান্তা জানান, এ আক্রমণের পেছনে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী উলফার হাত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি জানান, পুলিশ গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছে, গত সপ্তাহে উলফার দুই নেতাকে গ্রেফতার করার পরই তারা প্রতিশোধের পরিকল্পনা করছেন। তবে কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করছে না। উলফার প্রথম সারির এক নেতা এ হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। এদিকে , ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা দ্য ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এনআইএ) প্রকাশিত একটি চূড়ান্ত চার্জশিটে বলা হয়েছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আসাম রাজ্যে নকশালপন্থি জঙ্গিরা রাজনীতিবিদ, আমলা ও কন্ট্রাক্টরদের কাছ থেকে নিয়মিত অর্থ সহায়তা পাচ্ছে। গত ১৭ নভেম্বর ১৪ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৩৪ পৃষ্ঠার ওই চার্জশিট আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এতে দেখা যাচ্ছে, আসামের নর্থ কাচার হিলস জেলার সরকারি স্বাস্থ্য দপ্তর এবং সমাজকল্যাণ বিভাগের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে ২০ কোটি টাকা জঙ্গিদের সরঞ্জাম কেনার জন্য দেওয়া হয়েছে। চার্জশিটে আরও বলা হয়েছে, কলকাতায় অবস্থিত এক অবৈধ অর্থ পাচার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বেশিরভাগ লেনদেন হয়েছিল।
0 comments:
Post a Comment