অসি
বামফ্রন্টের ‘ব’ কলমে ক্ষমতায় এলো কমিউনিষ্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মার্কসিষ্ট)। সালটা ১৯৭৭ সি.পি.এম ক্ষমতায় এলো আর অন্যদিকে ক্ষমতা হারালো পুলিশ প্রশাসন। কমরেডরা উদ্ধে উঠে গেলেন ‘ল-এন্ড-অর্ডারের’। পুলিশ সহ সরকারের প্রতিটি দপ্তরে ব্যাপক হারে নিযুক্ত হতে থাকলেন লাল পার্টির দাদারা। কমরেডরা সংখ্যা গরিষ্ঠ হয়ে দখল করলেন ইউনিয়ন গুলি। সরকারি অফিসের সামনে ঝুলতে শুরু করলো দলিয়ও পতাকা। নজর কাড়ার মতো সরকারি দপ্তর শিক্ষা। ১৯৭৭ সালের পর থেকে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাটাই আস্তে আস্তে হয়ে গেলো লাল রঙের। এ.বি.টি.এ সভাপতি হয়ে উঠলেন এরাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার দন্ডমুন্ডের কর্তা। আর পুলিশ দপ্তরের সর্বে-সর্ব্বা হলেন আলিমুদ্দিনের সভাপতি।
সি.পি.আই.এম ক্যাডার বাহিনি যথেচ্ছ ভাবে তান্ডব চালাতে থাকলো রাজ্যে। ওয়ান পার্টি রুলের আদর্শ মেনে শুরু করলো বিরোধী নিধন যজ্ঞ। বাংলা ঘুম ভেঙে চায়ের কাপ হাতে খবরের কাগজে রোজ দেখতে শুরু করলো ছেলেদের রক্তে মাখা মায়ের মুখ। হ্যাঁ সাঁই ভাইদের হত্যার ঘটনা বলছি। বা উদাহরন হিসেবে বলা যেতে পারে কলকাতার রাজপথে প্রকাশ্য দিবালোকে আনন্দমার্গিদের পুড়িয়ে মারার ঘটনা। অথবা নানুরের গনহত্যা,বোরালের বাঘের খোলের নৃশংসতা থেকে হাল আমলের সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম। ইত্যাদি আরো কতো ছোট বড় হাহাকারের ঘটনা। হাজার হাজার নিহতের রক্তের দাগে এই ৩২ বছরে বাংলার মাটি লাল করেছে সি.পি.এম। বিধবার কান্নার অভিশাপে ভিজিয়েছে লাল পতাকা। আলিমুদ্দিনের প্রতিটি অলিন্দে আজও প্রতিধ্বনিত হয়ে চলেছে সন্তান হারা মায়েদের কান্নার প্রতিধ্বনি।
সি.পি.এম এসব দেখেও দেখেনা। শুনেও শোনেনা। তাইতো সাঁই ভাই হত্যা কান্ডের মূল অভিযুক্ত বিনয় কোঙার আজও আলো করে বসে আছেন আলিমুদ্দিনের লাল কুশানে।
ভারতের রাজনৈতীক ইতিহাসে সাঁই ভাইদের হত্যার মতো কুখ্যাত রাজনৈতীক হত্যা আর দ্বিতীয় একটি আছে কিনা সন্দেহ। সেই অভিশপ্ত দিনে সি.পি.এম ক্যাডার বাহিনী আক্রমন করলো সাঁইভবন। মায়ের চোখের সামনে রক্তে ভাসলো দুই ভাইয়ের দেহ। দুই সন্তানের শবদেহ মাকে উপহার দিয়ে, উল্লাসে নৃত্য করতে করতে স্বগর্বে পরিত্যাগ করলো ‘বধ্যভূমি’।
এরকমই আর এক কলঙ্কময় দিনে, কলকাতার রাজপথে প্রকাশ্য দিবালোকে পুড়িয়ে মারা হলো আনন্দ মার্গিদের। এই ঘটনায় নারী সহ মারা গেলেন বেশ কিছু আনন্দমার্গি সন্যাসী।
এই বর্বর ইতিহাসের কালিমা যাদের গায়ে তারা আবার গুজরাটের দাঙ্গার কথা বলে। বলে নরেন্দ্র মোদির কালো হাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও। সাচার কমিটির রিপোর্টে গুজরাট এদেশের সর্বচ্চ স্থানে। আর পশ্চিমবঙ্গের হাল? প্রশ্নটার উত্তর তোলা থাকলো তাত্বিক কমরেডদের উত্তরের অপেক্ষায়। আর বিরোধী গনহত্যার ইতিহাসের ক্ষেত্রে বলা যা-১০০ টি গনহত্যা ও পুড়িয়ে মারার ঘটনা রয়েছে এরাজ্যে। যা নৃশংস থেকে নৃশংসতর। কিন্তু লাল পতাকার ছত্রছায়ায় এসব ঘটনা গায়েব হয়ে গেছে পুলিশের খাতা থেকে। নীতি আদর্শের মুখোশ পড়ে কমরেড কুল একদিকে সাম্যের গান গাইছেন অন্যদিকে সঙ্কীর্ন রাজনিতীর খেলায় খুন করে চলেছে একের পর এক ভিন আদর্শে বিশ্বাসী মানুষদের।
0 comments:
Post a Comment