মাও সন্ত্রাসবাদীদের তান্ডবের হাত থেকে অল্পের জন্যে রক্ষা পেল রাজধানী এক্সপ্রেস। নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন কমিউনিষ্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া মাওইষ্টরা উড়িয়ে দিল ঝারখন্ডের লাতেহার জেলার কুমান্ডি ষ্টশনের নিকটবর্তী রেললাইন। সন্ধ্যার অন্ধকারে এই কুকর্ম টি করে তারা। রেল পুলিশের সতর্কতায় কোনও বড় সড় দুর্ঘটনা না ঘটলে'ও, পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারত। ঘটে যেতে পারত বড়-সড় দুর্ঘটনা। রাঁচি স্টেশন থেকে মাত্র ১৪০ কিলোমিটার দুরে এই ঘটনা স্থল। এই লাইন দিয়েই যাতায়াত করে রাজধানী এক্সপ্রেস সহ বহু গুরুত্ব পূর্ণ ট্রেন। কাল বিকেল সারে পাচটার সময়েই এই লাইন দিয়ে গেছে রাজধানী এক্সপ্রেস। এর মাত্র এক ঘন্টার মধ্যে অর্থাৎ কাল সন্ধ্যে ৬ ট ৩০ মিনিট নাগাত মাওবাদীরা এই লাইনটিকেই উড়িয়ে দেয়।
রেল কর্তৃপক্ষ সতর্কতার সাথে এই লাইন দিয়ে যাতায়াত করা সকল ট্রেন কে অন্য লাইন দিয়ে পাস করিয়ে দেয়। ফলে বিশেষ কোনও ক্ষয় ক্ষতি করতে পারেনি মাও সন্ত্রাসবাদী্রা। ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আক্রান্ত রেললাইন টি মেরামতের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। স্বাভাবিক ট্রেন চলাচলও আর কিছু ক্ষণের মধ্যে শুরু হয়ে যাবে।
অন্য একটি ঘটনা ঘটে রাঁচি থেকে ১৪০ কিলোমিটার দুরে পালামৌ জেলার তুকবারা গ্রামে। মাওবাদীরা এখানে বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেয় বি.এস.এন.এল এর একটি মোবাইল টাওয়ার। ২০ থেকে ৩০ জন মাওবাদীর একটি দল এই সমগ্র সন্ত্রাসটি চালায়।
মাওবাদীদের তরফ থেকে দুই দিনের বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে ঝারখন্ড, বিহার, উড়িষ্যা ও ছত্রিসগড়ে।। সি.পি.আই (মাও) দলের পলিটবুরো সদস্য অনিল কুমার ও সেন্ট্রাল কমিটির সদস্য কার্তিকের মুক্তির দাবিতেই এই বন্ধের ডাক দিয়েছে মাওবাদীরা।
ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চল আজ মাও সন্ত্রাসের শিকার গত আট বছরে মাওবাদীদের সন্ত্রাসিত রক্তাক্ত আন্দোলন কেড়ে নিয়েছে প্রায় ১৫০০ জন ভারতীয়ের প্রাণ।
0 comments:
Post a Comment