ভারতের সব থেকে বড় প্লে-বয়ের নাম কি?
কি বললেন! সালমান খান! আরে সে তো সিনেমায়। লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশানের রুপালি পৃথিবীতে।
এই কাঠ খড়ের পৃথিবীর কথা বলুন। আম আদমিদের মধ্যে সবথেকে বড় প্লে-বয় কে?
উত্তর দিন।
পারলেন না তো। তাহলে শুনুন। আজ এমন একজনের কথা বলবো যিনি বিদ্যাসাগর মহাশয়ের শ্রমসাধ্য বহু-বিবাহ নিরধক আইনকে শুধু বুড় আঙ্গুল-ই দেখাননি। অবমাননা করে ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন আরব সাগরের জলে।
‘মহান’ সেই মানুষটার নাম- তুষার ওয়াগমারি ওরফে তুষার বাপতে।
বয়স- ৪০
নিবাস- মহারাষ্ট্রের মুম্বাই শহরে।
পেশা- ইঞ্জিনিয়ার।
কর্মস্থান- এয়ার ইন্ডিয়া।
পরিচয় পর্ব শেষ। এবার আসা যাক আমাদের তুষার বাবুর কিত্তির প্রসঙ্গে। আমাদের তুষার বাবু একাধিক বিয়ে করেছেন।
দূরঃ,
ভাবছেন এ আবার কি কথা। সে তো আনেকেই কৃষ্ণপক্ষ-শুক্লপক্ষের মায়াজ্বালে জড়িয়ে পড়ে। এ আবার খবর নাকি?
আরা মশাই, পুরটা শুনুন। কৃষ্ণপক্ষ-শুক্লপক্ষের কথা নয়। এতো সাধারণ ফ্লাডবাজ নন আমাদের তুষার বাবু। ওনার পক্ষের সংখ্যা ১ এর পিঠে ৪, চোদ্দ।
আঙ্গে হ্যাঁ, ১৪ বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন তুষার বাবু। ১৪ বার মালা বদল করেছেন। ১৪ বার করেছেন শুভদৃষ্টি। ১৪ বার গেছেন হানিমুনে। ১৪ টা সংসার পেতেছেন। আর এই ১৪ জন বৌকেই ক্রমাগত বলে গেছেন, তোমাকে ছাড়া আমি বাচতে পারবোনা প্রিয়া।
মুম্বাই শহরের মধ্যেই ১৪ টা বাড়িতে থাকা তার ১৪ জন বৌকে নিয়ে বিগত আড়াই বছর সংসার করেছেন তুষার। বেশ চলছিলো তার ১৪ টা সংসারের রসগ্রহন। সহ্য হলনা কামদেবের। ধরা পড়ে গেলেন। মুম্বাইয়ের বিভিন্ন পুলিশ ষ্টেশনে তার নামে ৫ টা অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এই ৫ জন ভদ্রমহিলা দাবি করেছেন, ১৪ টা বিয়ে করা তার স্বামি তার সাথে প্রতারনা করেছেন। বাকি ৯ জন তুষার সহধর্মিনী প্রাকাশ্যে আসতে চাননি সামাজিক অপবাদের ভয়ে।
মুম্বাই পুলিশ তুষারকে গ্রেপ্তার করেছে। এয়ার ইন্ডিয়া বরখাস্ত করেছে তাদের গুণধর কর্মচারি তুষারকে।
ইন্টারনেটে বিবাহ সংক্রান্ত এক সাইতের সদস্য ছিলেন তুষার। গুছিয়ে সুন্দর ভাবে বানিয়েছিলেন তার প্রফাইল। সেখানে লেখা ছিলো। তিনি ডিভর্সি। বিয়ের জন্যে ডিভর্সি বা বিধবা মেয়ের সন্ধান করছেন (এখানে একটা কথা না বললে তুষার বাবুর উপর অন্যায় করা হবে, প্রথমে বলেছিলাম যে তুষার বিদ্যাসাগর মহাশয়ের শ্রমসাধ্য বহু-বিবাহ নিরধক আইন অবমাননা করে ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন আরব সাগরের জলে। সত্যি কথা তবে তিনি, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের শ্রমসাধ্য বিধবা বিবাহ আইনকে সম্মান করেছেন। এর প্রমান তিনি দিয়েছেন। তার কর্মের মাধ্যমে)।
তুষারের প্রফাইল দেখে আকর্ষন না হয়ে উপায় ছিলনা। ব্রাক্ষণ ছেলে (বাপতে পদবিটা নকল। এটি একটি মারাঠি ব্রাক্ষন উপাধি)। এয়ার ইন্ডিয়ার ইঞ্জিনিয়ার। ৭০০০০ টাকা বেতন। ফলে মেয়ের বাবা মা এর লাইন লেগেযেত। তুষার তদের সাথে যোগাযোগ করতেন। ঝক ঝকে স্মার্ট হ্যান্ডসাম তুষারকে অপছন্দ করারও প্রশ্ন উঠতো না। ব্যাস একদম ‘চট মাঙ্গনি পট বিহা’।
বৌ এর সাথে হানিমুন। তার পর তিন দিনের ছোট্ট একটা সংসার। তিন্দিন পর অফিসের কাজে বাইবে যাচ্ছি বলে বিদায় জানাতেন প্রিয়াকে। তার পর মাসে একবার কি দুবার দেখা করতেন। সে সময় ভালবাসায় ভরিয়ে দিতেন প্রিয়ার জীবন। তার পর আবার বেপাত্তা।
ঠিক এই একই পদ্ধতীতে বিগত আড়াই বছর ধরে ১৪ জন মহিলার জীবন নিয়ে ছেলেখেলা করেছেন তুষার।
তবে, শেষ রক্ষা হলনা। মুম্বাই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছেন তুষারকে। এখন শ্রীঘরে বসে হয় তো তুষার গুণ গুণ করে গাইছেন- হাম বেবফা হারগিস না থে, পর হাম বেবফা কর না সকে।
0 comments:
Post a Comment