Posted by Unknown On 12:47:00 pm No comments

লুকিয়ে ইরানে সামরিক অস্ত্র পাচার করতে গিয়ে ধৃত উত্তর কোরিয়ার জাহাজ .........।

দুই সপ্তাহ আগে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি উত্তর কোরিয়ার একটি জাহাজ আটক করেছে, যাতে ইরানের জন্য নির্ধারিত অস্ত্রশস্ত্র পাওয়া গেছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কূটনৈতিক সংবাদ মাধ্যমে এই খবর জানিয়েছেন

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে সন্দেহ এখনো দূর হচ্ছে না। অন্যদিকে উত্তর কোরিয়া ইতিমধ্যে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করে নিজেদের পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরেছে। উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধেও জাতিয়সংঘের একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা রয়েছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক কূটনীতিক এবার দাবি করেছেন, যে উত্তর কোরিয়া ইরানকে গোপনে অস্ত্র পাচার করার চেষ্টা করছে।

ঘটনার ইতিবৃত্ত

ঘটনাটি ঘটেছে প্রায় ২ সপ্তাহ আগে৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কূটনীতিক সংবাদ মাধ্যমকে এই ঘটনার কথা জানিয়েছেন৷ বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা ও সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খণ্ডচিত্র থেকে এখনো পর্যন্ত যা জানা গেছে, তা হল গত ১৪ই অগাস্ট সংযুক্ত আরব আমিরাতের কর্তৃপক্ষ বার্মুডার পতাকাধারী অস্ট্রেলিয়ার একটি জাহাজ আটক করে, নথিপত্র অনুযায়ী যাতে যন্ত্রাংশ পরিবহন করা হচ্ছিল। কিন্তু তল্লাশি চালিয়ে জানা যায়, যে জাহাজটি উত্তর কোরিয়া থেকে ইরানে অস্ত্র পাচার করছিল। রকেট লঞ্চার, বিস্ফোরণ ঘটানোর যন্ত্র, গোলা-বারুদ, রকেট চালিত গ্রেনেড ইত্যাদি নানা অস্ত্রশস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক কমিটিকে বিষয়টি জানায়৷ কমিটি এই মুহূর্তে গোটা ঘটনার তদন্ত করছে৷ ২৫শে অগাস্ট ঐ কমিটি ইরান ও উত্তর কোরিয়ার কাছে ঘটনাটির ব্যাখ্যা চেয়ে ১৫ দিনের মধ্যে জবাব চেয়েছে৷

এই প্রথম কোন রাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার এমন এক প্রচেষ্টা বন্ধ করতে সমর্থ হল৷ জাতিসংঘে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিরা অবশ্য এই ঘটনা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে প্রস্তুত নয়৷ উল্লেখ্য, এর আগে জুন মাসে একটি মার্কিন রণতরী উত্তর কোরিয়ার একটি জাহাজ চিহ্নিত করে, যেটি মিয়ানমারের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল বলে সন্দেহ করা হয়৷ জাহাজটি অবশ্য মাঝপথে ফিরে যায়৷ চলতি মাসে ভারতও মিয়ানমারগামী উত্তর কোরিয়ার একটি জাহাজ আটক করেছে৷

উত্তর কোরিয়ার আচরণ

মে মাসে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা ও তারপর ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারণে গত ১২ই জুন নিরাপত্তা পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে ১৮৭৪ নম্বর প্রস্তাব অনুমোদন করে, যার আওতায় উত্তর কোরিয়ার উপর নতুন কিছু নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়৷ উত্তর কোরিয়া এই প্রস্তাবের কড়া সমালোচনা করে পরমাণু কর্মসূচির আরও সম্প্রসারণ এবং ৬ দেশীয় আলোচনার কাঠামো থেকে বেরিয়ে আসার হুমকি দেয়৷ তবে চলতি মাসের শুরুতে পিয়ং ইয়ং সরকার সুর কিছুটা নরম করে৷ সদিচ্ছার পরিচয় হিসেবে সেদেশ প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের সফরের সময় আটক দুই মার্কিন সাংবাদিককে মুক্তি দেয়৷ নিউ মেক্সিকো প্রদেশের গভর্নর বিল রিচার্ডসনের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া সরাসরি ওয়াশিংটনের সঙ্গে সংলাপের ডাক দেয়৷

বিশেষজ্ঞরা উত্তর কোরিয়ার বর্তমান আচরণের মূল্যায়ন করতে গিয়ে মনে করছেন, যে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা নিষেধাজ্ঞার বেড়াজালের ফলে উত্তর কোরিয়ার কোষাগার মারাত্মক সঙ্কটে পড়েছে৷ ফলে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে একাধিক পদক্ষেপের মাধ্যমে তারা আয়ের নতুন উৎসের খোঁজ করছে৷ এরই আওতায় দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যের পথ খুলে দেওয়া হয়েছে৷ মার্কিন এনজিও ও সাহায্যকারী সংস্থাগুলিকে ফিরিয়ে আনতেও লস অ্যাঞ্জেলেসে এক প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে সেদেশ৷

0 comments:

Post a Comment